বাংলাদেশ মাশরুম ফাউন্ডেশন

রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানীজ এন্ড ফার্মস, বাংলাদেশ, ঢাকার দপ্তর থেকে 'দি সোসাইটিজ রেজিষ্ট্রেশন এ্যাক্ট/১৮৬০'-এর অধীনে নিবন্ধিত একটি অরাজনৈতিক, অলাভজনক, বেসরকারী, জনকল্যাণমূলক দাতব্য সংগঠন।

ফাউন্ডেশন গঠন ও এর আইনগত ভিত্তি

বাংলাদেশ মাশরুম ফাউন্ডেশন ‘দি সোসাইটিজ রেজিষ্ট্রেশন এ্যাক্ট/১৮৬০ (১৮৬০ সালের ২১ নং আইন)-এর অধীনে গত ২০০৫ সালের ১৭ মার্চ রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানীজ এন্ড ফার্মস, বাংলাদেশ, ঢাকার দপ্তর থেকে নিবন্ধিত একটি অরাজনৈতিক, অলাভজনক, বেসরকারী, জনকল্যাণমূলক দাতব্য সংগঠন। এর নিবন্ধন নম্বর এস-৪৫২০(৬২১)/০৫। সাভারের সোবহানবাগ-এ অবস্থিত মাশরুমের আঁতুড় ঘর হিসাবে পরিচিত ‘মাশরুম চাষ কেন্দ্র ও হর্টিকালচার সেন্টার’ এবং পরবর্তীতে উল্লিখিত ‘মাশরুম চাষ কেন্দ্র’-এর উন্নয়নকল্পে সরকারি রাজস্ব অর্থায়নে জুলাই, ২০০৩ হতে জুন, ২০০৬ মেয়াদে বাস্তবায়নাধীন ‘মাশরুম সেন্টার উন্নয়ন প্রকল্প’ থেকে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত কয়েকজন উদ্যোগী মাশরুম চাষী ২০০৩ সালের নভেম্বর মাসে মাশরুমের প্রচার ও নিজেদের কল্যাণে জোটবদ্ধ হওয়ার মানসে ‘মাশরুম গ্রোয়ার্স এসোসিয়েশন’ নামে একটি চাষী সংগঠন গড়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করেন এবং তারই ধারাবাহিকতায় এর লক্ষ্য-উদ্দেশ্য, কার্য পরিধি এবং প্রস্তাবিত সংগঠনের অধিকতর শক্তিশালী আইনগত ভিত্তি ও সক্ষমতা বিবেচনায় শেষ পর্যন্ত সংগঠনটি ‘বাংলাদেশ মাশরুম ফাউন্ডেশন ‘ নামে নিবন্ধিত হয়।

সদস্য শ্রেণি

উল্লিখিত লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অর্জনের অভিপ্রায়ে মাশরুম সংশ্লিস্টদের সমন্বয়ে প্রকৃত অর্থে একটি কল্যাণমূলক জাতীয় সংগঠন গড়ে তোলার কাজে উদ্যোগ নেয়া নেতৃস্থানীয় ২৫ জন- উদ্যোক্তা সদস্য (এই শ্রেণির সদস্য সংখ্যা নতুন করে বাড়ানোর সুযোগ নেই) ছাড়াও ফাউন্ডেশনের নিম্নোক্ত ছয় শ্রেণির সদস্য করার ব্যবস্থা রয়েছে।

(সূত্র: সংঘবিধির অনুচ্ছেদ নং ২)।

 

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, উপর্যুক্ত সাত শ্রেণির সদস্যের মধ্যে শেষের তিন শ্রেণির সদস্যগণ ফাউন্ডেশনের অনারারি সদস্য হিসেবে গণ্য। তাঁরা ফাউন্ডেশন পরিচালনায় নির্বাহী ক্ষমতা সম্বলিত কোন কমিটির সদস্য হতে পারেন না, তবে তাঁরা উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হতে পারেন।

 

এছাড়াও উপর্যুক্ত সাত শ্রেণির যে কোনটির অন্তর্ভূক্ত যে কোন আগ্রহী সদস্য তাঁর বার্ষিক চাঁদা হালনাগাদ পরিশোধিত থাকা সাপেক্ষে নির্ধারিত এককালীন আজীবন চাঁদা জমা দিয়ে ফাউন্ডেশনের আজীবন সদস্য হতে পারেন। তবে বর্তমানে আজীবন সদস্য হওয়ার কার্যক্রম বিশেষ কারণে বন্ধ রয়েছে।

সাধারণ সদস্য

মাশরুম চাষী, মাশরুম শিল্পোদ্যোক্তা, মাশরুম ব্যবসায়ীগণ

টেননিক্যাল সদস্য

কৃষি বিষয়ে ডিগ্রিধারী নন অথচ মাশরুম সংক্রান্ত গবেষণা/ অধ্যাপনা/ চিকিৎসা প্রভৃতি বিশেষজ্ঞ পর্যায়ের পেশা বা কাজে নিয়োজিত এবং সেই নির্দিষ্ট পেশা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে স্নাতক/ স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী ব্যক্তিবর্গ

পেশজীবি গ্রুপ সদস্য

মাশরুম নিয়ে কাজ করেন বা কাজ করতে আগ্রহী আইনজীবি, অভিনেতা, হিসাবরক্ষক, ক্রীড়াবিদ, সাংবাদিক, মিডিয়াকর্মীসহ বিশেষায়িত যে কোন পেশায় নিয়োজিত পেশাজীবিগণ

কৃষিবিদ সদস্য

কৃষি বিষয়ে স্নাতক/ স্নাতকোত্তর ডিগ্রীধারী ব্যক্তিগণ

প্রতিষ্ঠান শ্রেণির সদস্য

মাশরুম উৎপাদন, ব্যবসা, মাশরুম সংশ্লিষ্ট শিল্প স্থাপন, প্রশিক্ষণ, গবেষণা, প্রচার প্রভৃতি কাজে সম্পৃক্ত একক/ অংশীদারী বা যৌথ মালিকানাধীন ব্যবসায়ী/ অব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান/ সংগঠন/ ইন্সটিটিউট

বিবিধ শ্রেণির সদস্য

উপরে বর্ণিত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান বহির্ভূত যে কোন সেলিব্রেটি বা আগ্রহী ব্যক্তিবর্গ

সদস্যের যোগ্যতা নির্ধারক বৈশিষ্ট্যসমূহ

ফাউন্ডেশনের সদস্যভুক্তির জন্য একজন ব্যক্তির/ প্রতিষ্ঠনের নিম্নলিখিত যোগ্যতাসূচক বিষয়গুলো বিবেচনা করা হয়ে থাকে:-

১। ব্যক্তি/ গ্রুপ/ প্রতিষ্ঠানের ফাউন্ডেশনের লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও কর্মসূচীর প্রতি অঙ্গীকার।

২। মাশরুম উন্নয়ন কর্মকান্ডের সাথে সংশ্লিষ্টতা অর্থাৎ জড়িত থাকা।

৩। নৈতিক, মানসিক ও শারীরিক সুস্থতা।

৪। মানবিক মূল্যবোধ ও আদর্শের অস্তিত্ব।

৫। অন্যের জন্য ভালবাসা ও তাঁদের কল্যাণে নিজেকে উৎসর্গ করার মনোভাব।

৬। ব্যক্তিগত নাম, যশ ও বস্তুগত অর্জনের প্রতি উদাসীনতা।

৭। দায়িত্বজ্ঞান।

৮। নিয়ম ও শৃঙ্খলার প্রতি আনুগত্য।

৯। সততা, সাধুতা ও নিষ্ঠা।

(সূত্র: সংঘবিধির অনুচ্ছেদ- ১)

 

কমিটি মনোনয়ন/ নির্বাচন প্রক্রিয়ায় সদস্য বাছাইয়ে বিবেচ্য বিষয়সমূহ

ফাউন্ডেশনের প্রাধিকারিক নির্বাচন/ মনোনয়ন/ বাছাই/ নিয়োগে সংঘবিধির অনুচ্ছেদ- ১ এ বর্ণিত গুণাবলী ছাড়াও নিম্নলিখিত গুণাবলী সক্রিয় বিবেচনা করা হয়।

বিশ্বাসযোগ্যতা

প্রাসঙ্গিক জ্ঞান

প্রয়োজনীয় দক্ষতা

পদের প্রতি মোহহীনতা

Our impact
Influencing the way people, organisations, and movements think and act.
Our partners
Want to make a difference?

Help us raise money for our humanitarian causes